মা’ঠে না’ম’ছে ‘আ’স’ল হে’ফা’জ’ত’, আ’ত’ঙ্কে বা’বু’নগরীর অ’নু’সা’রীরা

রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স’রকারকে চা’পে ফেলতে গিয়ে উল্টো বিপাকে পড়েছে হেফাজতে ইস’লাম। বা’ধ্য হয়েছে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করতে। কাগজে-কলমে হেফাজত অরাজনৈতিক ধ’র্মীয় সংগঠন হলেও সংগঠনটির জ’ন্ম থেকে অদ্যাবধি তাদের কর্মকা’ণ্ড ধ’র্মীয় চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি।

অ’ভিযোগ রয়েছে, রাজনীতির মাঠে যখন যেদিকে সুবিধা পেয়েছেন তাদের পক্ষেই কাজ করেন সংগঠনটির নেতারা। হেফাজত কখনো কখনো ব্যবহার হয়েছে অন্যের ঘুঁটি হিসেবেও। ফলে ইস’লামের রীতিনীতি প্রচার ও প্রসারে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে যে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে দাবি করা হয় তা এখন দ্বিধাবিভক্ত ও বি’তর্কি’ত হয়ে পড়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে হেফাজতে ইস’লামের দুই ধারা ভিন্ন পথে হাঁটছে। সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের কেউ ব্যস্ত স’রকারের স’ঙ্গে সমঝোতায়, কেউ গ্রে’প্তার এড়াতে চলে গেছেন আত্মগো’পনে। ঠিক বিপরীত চিত্র প্রয়াত আমির আল্লামা আহম’দ শফীর অনুসারীদের।

তারা সদ্য বিলুপ্ত কমিটির বি’তর্কি’ত কর্মকা’ণ্ড প্রকাশ্যে তুলে ধ’রার পাশাপাশি ব্যস্ত সংগঠন গোছাতে। এমনকি ঝিমিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের চাঙা করে মাঠে নামা’র প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা।আল্লামা আহম’দ শফীর অনুসারী হেফাজতে ইস’লামের সাবেক যুগ্ম মহাস’চিব মা’ওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন,

আল্লামা আহম’দ শফীর গঠন করা কমিটি নিয়ে হেফাজতে ইস’লামের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। সিনিয়র নেতা ও দেশের শীর্ষ আলেম’দের নিয়ে দ্রু’ত বৈঠক হবে। ওই বৈঠক থেকে হেফাজতে ইস’লামের পুনর্জাগরণের ঘোষণা দেওয়া হবে’।

বর্তমান কমিটি সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে হয়নি দাবি করে মঈনুদ্দীন রুহী বলেন, ‘বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতের কমিটিতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। তারা আলেম-উলামাদের স’রকার ও সহিং’সতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এটা আল্লামা শফীর আদর্শচ্যুতি এবং তাঁর স’ঙ্গে গাদ্দারি।

এটি করা হয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য’।বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার বলেন, ‘হেফাজতে ইস’লামের কমিটি বিলুপ্ত করে পুনর্গঠনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে হতে হবে। তা না হলে হেফাজতে ইস’লামকে আরো কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে।

বাবুনগরীর অনুসারী এক নেতা বলেন, ‘হেফাজতে ইস’লামের বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীরা বর্তমানে সংগঠন নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা করছে না। তাদের সবাই গণগ্রে’প্তার ও না’শকতার মা’মলা নিয়ে টেনশন ও আ’তঙ্কে আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রমে সাধারণ নেতাকর্মীরা আসবে না, এটা নেতাদের জানা আছে। তাই বিলুপ্ত কমিটির পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে না আপাতত’।

ভা’রতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে না’শকতার ঘ’টনায় হেফাজতে ইস’লামের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতাসহ শতাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা গ্রে’প্তার হয়েছেন। না’শকতা মা’মলা এবং আল্লামা শফী হ’ত্যা মা’মলায় গ্রে’প্তার হওয়ার আ’তঙ্কে রয়েছেন শীর্ষ নেতারা। গ্রে’প্তার এড়াতে শীর্ষ নেতাদের অনেকে এখন আত্মগো’পনে। চ’রম এ সং’কটময় পরিস্থিতিতে আ’তঙ্ক ও টেনশনে দিন কাটছে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী অনুসারীদের। তার ও’পর গত শনিবার রাতে হঠাৎ ফেসবুক লাইভে এসে কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটিগুলো ভে’ঙে দেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এতে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় সংগঠনে।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীদের কোণঠাসা সুযোগে ফের সক্রিয় হয়েছেন প্রয়াত আমির আল্লামা আহম’দ শফীর অনুসারীরা। তারা বর্তমান কমিটির বি’তর্কি’ত কর্মকা’ণ্ড নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন নানাভাবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের ফের সক্রিয় করছেন। গত কয়েক দিনে দেশের সব বড় বড় মাদরাসার স’ঙ্গে যোগাযোগ করেছেন শফীর অনুসারীরা। আল্লামা আহম’দ শফী অনুসারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র নেতা পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া এরই মধ্যে প্রয়াত আমিরের ২৫ হাজার মুরিদ ও খলিফার তালিকা তৈরি করে তাদের সক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলছে। আল্লামা শফীর ছাত্র-অনুসারীদের নিয়েই মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মাঠে সক্রিয় হচ্ছে ‘আসল হেফাজতে ইস’লাম’।